বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ নিয়ে সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিজার্ভের হালনাগাদ চিত্র
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী:
- গ্রস রিজার্ভ: চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬.০৯ বিলিয়ন ডলার।
- আইএমএফের হিসাব (বিপিএম-৬): আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিমাপ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলার (২,১৩৩ কোটি ডলার), যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
- ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ হিসাবে দেশের প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ
- বিদেশি অনুদান: সম্প্রতি বিদেশি অনুদান রিজার্ভে যোগ হওয়ায় বৃদ্ধি হয়েছে।
- বৈধ রেমিট্যান্স: চলতি মাসের প্রথম ২৮ দিনে বৈধ পথে ২৪২ কোটি ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৯,০৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসেবে)। প্রতিদিন গড়ে ৮.৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
- বিনিময় হার স্থিতিশীলতা: অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করেছে।
নিট রিজার্ভ ও এর হিসাব
আইএমএফের 'বিপিএম-৬' নিয়ম অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত, একটি দেশের রিজার্ভের ন্যূনতম পরিমাণ তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট বলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নতির দিকে। রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে।
No comments:
Post a Comment