Wednesday, April 30, 2025

৫ মে বাজারে আসছে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম

 

সাতক্ষীরার আমের খ্যাতি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। অন্য জেলার তুলনায় এ জেলার আম বাজারেও আসে আগে। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে গতকাল বুধবার সাতক্ষীরার আম সংগ্রহের সময়সূচি প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৫ মে থেকে বাজারে আসছে সাতক্ষীরা সুস্বাদু আম।
গতকাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় আম সংগ্রহের এ সূচি প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। এ সময় জেলার আমচাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
জেলা প্রশাসক জানান, সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আমরুপালি জাতের আমের কদর আছে দেশ ও বিদেশে। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এখানকার আম দেশের অন্য এলাকার তুলনায় অগ্রিম পরিপক্ব হয় এবং স্বাদেও অনন্য। আগে বাজারে ওঠার কারণে বেশি দামে বিক্রিও হয় এ আম। সাতক্ষীরার আমের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং বিশুদ্ধ ও নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার আম সংগ্রহের একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
 নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম, ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন থেকে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে। তিনি বলেন, এ সময়সূচির আগে অপরিপক্ব আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা বাজারজাতকরণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে।
 জেলা প্রশাসক জানান, এ বছর সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য আম নিশ্চিত করতে গুণমান রক্ষা এবং নির্ধারিত সময়ের আগে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখা হবে। 

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার আমবাগান রয়েছে। চলতি বছর এখান থেকে এবার ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জাতের আম পরিপক্ব হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আগেভাগে পাড়লে আমের স্বাদ ও গুণমান কমে যায়, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ ক্ষুণ্ণ হয়। ২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে, যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, আম মৌসুমের এবার ‘অন ইয়ার’।

 অর্থাৎ বেশি ফলনের বছর। আমচাষিরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে এবার আম গাছগুলোয় বেশি পরিচর্যা করতে হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার বালাইনাশক, রাসায়নিক সার বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে আমের ভালো ফলন হলে এ খরচ পুষিয়ে যাবে।

ইত্তেফাক/এমএএম


No comments:

Post a Comment

Search This Blog

Powered by Blogger.