সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে হজ পালনকারীদের জন্য রাবারের নমনীয় সড়ক তৈরি করেছে দেশটির সরকার। এ বছর হজযাত্রীরা উন্নতমানের, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ হাঁটার রাস্তা উপভোগ করতে পারবেন।
আরব নিউজের খবর অনুসারে, হজ পালনের জন্য হজযাত্রীদের বেশ কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ পথ হেঁটে চলাচল করতে হয়। সাধারণ সড়কে হাঁটার কারণে তাদের গোড়ালি ও পায়ে তীব্র ব্যথা হয়, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি ভুক্তভোগী হন। আর হজ পালনকারী মুসল্লির অর্ধেকের বেশি বয়স্ক ব্যক্তি।
হজ পালনকে স্বস্তিদায়ক করতে গত বছর রাবারের নমনীয় সড়ক প্রকল্পটি চালু করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর প্রকল্পটি ৩৩ শতাংশ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে নামিরাহ মসজিদ থেকে আরাফাতের আল-মাশায়ের ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত নমনীয় রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ব্যবহৃত টায়ার পোড়ানোর পরিবর্তে সেগুলো পুনর্ব্যবহার করে নমনীয় পিচে রূপান্তর করা হয়েছে। এই পিচের সড়কে হাঁটার সময় পায়ে চাপ ও আঘাতের ঝুঁকি কমে আসে।
সৌদি আরবের সরকারি চাঁদ দেখা কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে আগামী ৪ জুন চলতি বছরের হজ শুরু হওয়ার কথা। ২১ মে পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছেছেন। এবারও ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি হজযাত্রী যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গত বছর দেশটি থেকে ২ লাখ ২১ হাজার মুসলিম হজ পালনের জন্য গিয়েছিলেন। এরপর পাকিস্তান, ভারতের পর চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশ।
এদিকে, হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার দিনগুলোয় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জন্য নিরাপত্তা ও শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৯ জিলহজ আরাফার দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হজযাত্রীদের তাদের তাঁবুতে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই সময়ে কোনো হজযাত্রী মসজিদে নামিরাহ ও জাবলে রহমাতে যেতে পারবেন না।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে এক জরুরি অনলাইন সভায় সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আল হাসান আল মানাখারা এ নির্দেশনার বিষয়টি বাংলাদেশকে অবহিত করেন।
সূত্র ঃ সমকাল
No comments:
Post a Comment