ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হলেও গাজা নিয়ে শঙ্কা
ফাইল ছবি
নতুন বছর সবসময় নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আসে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টাদের সামনে শুরুতেই দুটি বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে—ইউক্রেন ও গাজার যুদ্ধ। এ দুটি যুদ্ধ ইতোমধ্যে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনকে সংকটের মুখে ফেলেছে। তবে ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি খুব দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারবেন।
ট্রাম্প এবং তাঁর শীর্ষ উপদেষ্টারা ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কিথ কেলগকে তাঁর যুদ্ধবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। কেলগ ইউক্রেনকে আলোচনায় বাধ্য করতে সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
একই সঙ্গে ন্যাটোর সদস্যপদ ইউক্রেনকে এখনই না দেওয়া এবং মস্কোকে আলোচনায় রাজি করাতে নিষেধাজ্ঞা কমানোর মতো বিষয় বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। এর ফলে, ইউক্রেন স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়ার তুলনায় দুর্বল অবস্থানে থাকবে, যা যুদ্ধের সমাপ্তির আলোচনায় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই প্রস্তাবগুলো মস্কোর চেয়ে কিয়েভের জন্য বেশি হতাশাজনক হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। ন্যাটোর প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহ বা অঙ্গীকারে ঘাটতি রয়েছে, যা তাঁর প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালেই দৃশ্যমান হয়েছিল। ফলে নতুন মেয়াদে ট্রাম্পের জন্য ন্যাটো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। বাইডেনের সময় ন্যাটো নতুন সদস্যদের গ্রহণ করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছালেও, অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা ও রাশিয়ার হুমকির মুখে পড়েছিল।
বৃহত্তর ইউরোপে যারা প্রতিরক্ষা বিষয়ে মার্কিন নির্ভরতা কমিয়ে স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে কাজ করছেন, তারা আশা করছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তাদের প্রচেষ্টা ভিন্ন গতি পাবে। তবে এটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে থাকবে।
বিশ্ব মঞ্চে এই চ্যালেঞ্জগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে।
No comments:
Post a Comment